তীব্র শীতের মৌসুমেও রামগড়ে খেজুর রসের সংকট

image_568_94127_5

করিম শাহ, রামগড় :

শীতের শুরুতে প্রতি বছরের মত খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় গাছীরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দিলেও খেজুর রস মিলছেনা আগের মত। এ ব্যাপার স্থানীয়রা বলেন, গ্রামে গ্রামে খেজুর গাছ কেটে বিভিন্ন স্থানে জ্বালানী কাঠ হিসেবে ব্যবহার করায় বিগত ৫-৬ বছর খেজুর গাছ আশংকা জনক হারে কমতে শুরু করেছে। যার ফলে এখন উপজেলায় তীব্র শীতের মৌসুমেও খেজুরের রসের সংকট দেখা দিয়েছে। বিত্তবানরা অনেক কষ্টে অতিরিক্ত মূল্যে দিয়ে খেজুর রসের মৌসুমী স্বাদ গ্রহণ করতে পারলেও পাহাড়ী এলাকার গরীব ও হত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ সেই স্বাদ নিতে পারেন না আগের মত।

এদিকে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শন করে দেখা গেছে, উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে দূর দূরান্তে ২-৪ টি খেজুর গাছ থেকে গাছীরা রস সংগ্রহ করতে দেখা গেলেও রামগড় লেকের দু’পাশের খেজুর গাছগুলি গাছীর অভাবে খোল হচ্ছে না। রামগড় সদর ও পৌরসভার সোনাইপুল-খাগড়াবিল সড়কের দু’পাশের ৪৫-৫০টি খেজুর গাছ আছে। প্রতি বছর এলাকাটির আশপাশের মানুষের রসের চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী এলাকাও সরবরাহ করা হলেও চলতি বছর গাছগুলির মালিকানাসহ বিভিন্ন সমস্য থাকায় গাছীরা রস সংগ্রহ করতে না পারায় উপজেলার সোনাইপুল, সদু কার্বারীপাড়া, ফেনীরকুল পৌর এলাকাগুলোতে এখন উচ্চ মূল্যেও খেজুর রস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তিব্র শীতেও ঘরে ঘরে মিলছেনা শীতের পিঠা ও খেজুর রসে তৈরী নান ধরনের পায়েস।

রামগড় পৌর এলাকার গাছী মোঃ মোস্তফা জানান, প্রতি বছর শীতকালে নিয়মিত ৮০-৯০টি গাছে রসের জন্য প্রস্তুক করলেও এবছর গাছের মালিকানাসহ বিভিন্ন সমস্যা জনিত কারণে গাছগুলো রসের জন্য প্রস্তুত করতে দেয়া হচ্ছে না। যার কারণে আশপাশের এলাকার ১৫-২০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে থাকি, যা গ্রাহকদের চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য।

তিনি আরো বলেন, ১২-১৫ বছর ধরে শীতের সময় খেজুর গাছের খেজুর রস সংগ্রহ করে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রয় করে আসছি। এক সময় প্রচুর রস পাওয়া যেতো, এখন গাছও কম কিন্তু চাহিদা বেশি । অগ্রিম অর্ডার নিয়েও গ্রাহকদের পরিমান মত রস দিতে পারছি না ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন