পাহাড় ধ্বসে শতাধিক প্রাণহানি ও ক্ষয়-ক্ষতিতে ইউপিডিএফ-এর শোক প্রকাশ

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে রাঙামাটি ও বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বসে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ও শতশত আহত হওয়ার ঘটনাকে স্মরণকালের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় উল্লেখ করে পার্টির পক্ষ থেকে গভীর শোক এবং নিহত-আহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে।

এছাড়া ওই দুই পার্বত্য জেলার ক্ষতিগ্রস্ত জনবসতি ও তার আশে-পাশের অঞ্চলকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় জনিত বিশেষ জরুরি এলাকা হিসেবে বিবেচনা করে দুর্গত মানুষজনের সাহায্যার্থে নিজ দলীয় ও অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীবাহিনী নিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে সাধ্যমত কার্যক্রম পরিচালনা করার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

সংবাদ মাধ্যমে পার্টির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবিশংকর চাকমা।

সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতৃদ্বয় আগামী ১৫ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় তিনদিনব্যাপী জাতীয় শোকপালনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন। জাতীয় শোকপালনের অংশ হিসেবে আগামী ১৫ জুন থেকে ১৭জুন পর্যন্ত পার্টির সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, ১৫জুন এলাকায় এলাকায় গণ কালোব্যাজ ধারণ, নিহতদের স্মরণে পার্টির সকল সদস্যের নিরামিষব্রত পালন, নিহতদের স্মরণে শোকসভা পালনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। নেতৃদ্বয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশবাসী সকলকে এ শোক কর্মসূচিতে সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশের আন্তরিক আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ ঘোষিত কর্মসূচির আরো একটি  গুরুত্বপূর্ণ  দিক হচ্ছে, পার্বত্য  চট্টগ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সৃষ্ট  বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পার্টি ও তার অঙ্গ সংগঠনসমূহ সকল ধরনের সাধারণ কর্মসূচিসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রম আপাতত সময়ের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। তিন পার্বত্য জেলার সকল সংগঠন-সমিতি ও ব্যক্তিগণও যেন দুর্গতদের সাথে সংহতি ও সমবেদনা জানিয়ে সমস্ত ধরনের বিনোদনমূলক কর্মসূচি স্থগিত রাখে তা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেশ ক’দিন ধরে একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে ১৩জুন রাঙামাটি জেলা সদর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা, কাউখালী, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি উপজেলা, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি এবং চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও চন্দনাইশে পাহাড় ধ্বসে শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া মাটির নিচে অজ্ঞাত সংখ্যক লোকজন আটকা পড়েছে এবং ঘরবাড়ি ও সহায় সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন