বাইশারী বাজারের এক ব্যবসায়ীকে হুমকি: তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের

অভিযোগ

বাইশারী প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারের এক ব্যবসায়ীকে হুমকি ধমকি দেওয়ায় বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উক্ত ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ নভেম্বর শনিবার হুমকি দাতা আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ কালা মনুকে রাত ১০ টার দিকে আটক করলেও বিভিন্ন মহলের তদবিরের কারণে ২ ঘন্টার ব্যবধানে ছাড়া পেয়ে যায়।

বর্তমানে অভিযোগকারী হুমকি দাতাকে ছেড়ে দেওয়ায় আরো বেকায়দায় পড়েছেন বলে জানান। লিখিত অভিযোগে জানাযায় বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত জহিুরুল মোস্তাফার পুত্র বাইশারী বাজারের বিকাশ এজেন্ট ও ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ী শহিদুল দীর্ঘকাল যাবৎ সুনামের সহিত ব্যবসা বানিজ্য করে আসলেও গত কিছু দিন যাবৎ একই ইউনিয়নের হলদ্যাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল গণির পুত্র আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ কালা মনু তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকিসহ ব্যবসায়িক কাজে বাধা প্রদান করে আসছেন এবং বহিরাগত ব্যবসায়ী মালামাল ক্রয়ের জন্য এলাকায় প্রবেশ করার সাথে সাথে বিভিন্ন লোক দিয়ে তাদের ভুলবুঝিয়ে এলাকা ছাড়া করে থাকেন।

তাছাড়া বহিরাগত ব্যবসায়ীদের মালামাল ক্রয় করতে বারণ করে থাকেন।

আবার কেউ যদি মালামাল ক্রয় করে থাকে কালা মনুর মাধ্যমেই করতে হবে। অন্যতায় কোন ধরনের মালামাল ক্রয় করতে দিবে না।এছাড়া গত ৪ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে রাঙ্গুনিয়ার এক ফুলঝাড়ু ব্যবসায়ীকেও হুমকি ধমকি এবং ব্যবসায়িক কাজে বাধা প্রদান করায় উক্ত ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমদ নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন।

ঐসময় স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় মুছলেকা দিয়ে ছাড়া পায়। অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত কালা মনু সন্ত্রাসী ও ডাকাত প্রকৃতির লোক হয়। সব সময় ব্যবসায়ীরা মালামাল ক্রয় করতে এলাকায় আশা মাত্রই নানা ধরনের ভুল বুঝিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করে তাড়িয়ে দেয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ ,কালামনু একজন এলাকায় সুদি মহাজন হিসেবে পরিচিত । সে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অগোচরে লাখ লাখ টাকা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে দিয়ে মোটা অংকের দ্বিগুন সুদ আদায় করে ছাড়ছে।
গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ভয়ভীতির মাধ্যমে সুদের দ্বিগুন টাকা আদায় করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।

ব্যবসায়ী শহিদুল বলেন, তার ভয়ভীতি ও হুমকিতে অতিষ্ট হয়ে তিনি ন্যায় বিচার চেয়ে প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন