বাঙালীদের ঘরবাড়ীতে হামলা-লুটপাটের প্রতিবাদে পার্বত্য নাগরিক ও বাঙালী ছাত্র পরিষদ

11853820_923288001075051_413745784_n

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

রামগড়ের হাফছড়ি ইউনিয়নের হাতিমূড়া এলাকায় ইপিডিএফ সন্ত্রাসী র্কতৃক গত সোমবার বাঙ্গালীদের ঘরবাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ।

বুধবার এক বিবৃতিতে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় চয়োরম্যান আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, কেন্দ্রীয় মহাসচিব এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাব্বির আহম্মদ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান খান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছাদেকুর রহমান এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।

একইসাথে নেতৃবৃন্দ ইউপডিএিফ ও জনসংহতি সমিতির চক্রান্তমূলক এহেন কাজকে নস্যাত করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণকে আহবান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বক্তারা বলেন- গত (১০ আগস্ট) সোমবার রামগড় উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের হাতিমূড়া এলাকায় উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ কতৃক বাঙ্গালীদের ঘরবাড়ীতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়ে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বক্তারা বিবৃতিতে ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে উপজাতীয় সংগঠন ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা একের পর এক বাঙ্গালীদের বাড়ীঘরে, মাদ্রাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটাচ্ছে। প্রশাসনকে উপজাতি সন্ত্রাসীদের ব্যপারে শীঘ্রই চিরুণী অভযিান পরচিালনা করার ও আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

বক্তারা আরো বলেন, উপজাতি সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এক দিকে অস্ত্রের ঝনঝনানি অন্যদিকে চাঁদাবাজীর কারণে অতিষ্ঠ। এ সময় তারা কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রামগড়ে বাঙ্গালীদের বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপাটকারী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা না হলে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাঙ্গালী পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা না হলে সর্বস্তরের বাঙ্গালীদের সাথে নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলায় হরতাল-অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, যখন পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশী স্থিতিশীল ও শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে এবং সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ঠিক সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল এবং অশান্ত করার হীন চক্রান্তে জনসংহতি সমিতি গত ২৯ জুলাই’১৫ রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় হাটবাজার বর্জন কর্মসূচী প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ছে। যেখানে সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিক সেখানে জনসংহতি সমিতির এহেন কর্মসূচী পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল ও পাহাড়ি বাঙালির মাঝে অবিশ্বাস, দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগানোর উস্কানি দিয়ছে।

আমরা সরকারের কাছে অবিলম্বে শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা সহ রাজনীতির ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুবিধা বণ্টনের জোর দাবি জানাচ্ছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বাঙালিদেরকে সাথে নিয়ে শীঘ্রই পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন