বাঙালী ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ ও পার্বত্য নিউজের বক্তব্য

bangali satro parisod

পার্বত্য নিউজ ডেস্ক:

গত ১৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য নিউজে প্রকাশিত ‘শর্ত সাপেক্ষে পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন মেনে নিল পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও বাঙালী ছাত্র পরিষদ’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ পাঠিয়েছে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন কর্তৃক পাঠানো সম্পূর্ণ প্রতিবাদলিপিটি নিম্নরূপ: ‘গত ২০/০৯/১৩ খ্রি: তারিখ রোজ শুক্রবার অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পার্বত্য নিউজ ডট কমে খাগড়াছড়ি হতে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ জনাব ওয়াদুদ ভুঁইয়ার বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। পার্বত্য নিউজ ডট কমে উল্লেখ করে যে, ‘শর্ত সাপেক্ষে পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন মেনে নিল পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ’। উপরে উল্লেখিত শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। যা পার্বত্য অঞ্চলসহ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের কাছে সম্পূর্ণ স্পষ্ট। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ এই সব সংবাদ প্রকাশ করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উল্লেখ যে, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ বহুল বিতর্কিত এই ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন জাতীয় সংসদে পাশ করা হলে নিম্মোক্ত কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়:-  

 গত ২২/০৯/১৩ রোজ রবিবার তিন পার্বত্য জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, আগামী ২৪/০৯/১৩ রোজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রতীক অনেশন পালন, ও মহান সংসদে উক্ত আইন পাশের পরর্বতী দিন হতে লাগাতার হরতাল কর্মসূচি পালন।’

 পার্বত্য নিউজের বক্তব্য

১. প্রতিবাদ পত্রে নিউজটি প্রকাশের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর বলা হলেও কার্যত রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর।

২. শুধু পার্বত্য নিউজ একা নয়, পার্বত্য নিউজে এ রিপোর্টটি প্রকাশের পর একই ধারায় আরো কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

৩. পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের এই প্রতিবাদপত্রটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন কর্তৃক পাঠানো হয়েছে বলে দাবী করা হলেও প্রতিবাদপত্রে তার কোনো স্বাক্ষর না থাকায় খুব সহজেই এই প্রতিবাদপত্রটিকে এভয়েড করা যেত। তাছাড়া সম্পূর্ণ রিপোর্টে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও নাগরিক পরিষদের প্রায় সম্পূর্ণ প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও সকল দাবী তুলে ধরা ধরা হয়েছে, তাই প্রতিবাদ ছাপার কোনো প্রয়োজনীয়তাও ছিল না। কিন্তু পার্বত্য নিউজ তা না করে উদ্যোগী হয়ে বাঙালী ছাত্র পরিষেদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে উল্লিখিত প্রতিবাদটি প্রকাশ করে প্রমাণ করেছে আলোচ্য সংবাদটি প্রকাশে পার্বত্য নিউজের কোনো অসাধু উদ্দেশ্য ছিল না। তবে উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই ছিল, আর তা হলো- বাঙালী স্বার্থ রক্ষার কথা বলে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কতিপয় নেতা ঐতিহ্যবাহী বাঙালী ছাত্র পরিষদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে কিভাবে বাঙালীর অস্তিত্ব বিরোধী পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে সংস্কারের শর্ত দিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে তা দেশবাসীর বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগনের সামনে তুলে ধরে সতর্ক করা।

৪. পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন যে সম্পূর্ণ রূপে বাঙালীর স্বার্থ ও অস্তিত্ব বিরোধী সে বিষয়ে পার্বত্য নিউজে একাধিক রিপোর্ট ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বাঙালী ছাত্র পরিষদ ও নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ পার্বত্য নিউজের সেসকল রিপোর্ট ও প্রবন্ধের অনেক প্রশংসাও করেছেন। বিভিন্ন সময় আলাপচারিতায় তারাও স্বীকার করেছেন এ কমিশনের বাতিলই একমাত্র সমাধান। শুধু তাই নয়, ভূমি কমিশনের বাতিলের দাবীতে ছাত্র পরিষদ, নাগরিক পরিষদ ও অন্যান্য বাঙালী সংগঠনগুলো একাধিক হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচীও পালন করেছে। কিন্তু এই আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জনপ্রশাসন উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের আয়োজন করা হলে বৈঠকে অংশগ্রণকারী বাঙালী প্রতিনিধিবর্গ রহস্যজনক কারণে তাদের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে ভূমি কমিশনে তিন জন বাঙালী সংদস্যের পদ সৃষ্টি পূর্বক বিভিন্ন সংস্কার দাবী তোলে। বাঙালীদের এহেন দাবীর ফলে একটি অবৈধ, অসাংবিধানিক, রাষ্ট্রবিরোধী ও সর্বৈব বাঙালীর অস্তিত্ব বিরোধী ভূমি কমিশন টিকে যাওয়ার পথ সৃষ্টি হয়। এরপর ছাত্র ও নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন সময় পার্বত্য নিউজ অফিস পরিদর্শন কালে বিষয়টির ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হলে তারা ভুল স্বীকার করেন। এরই প্রেক্ষিতে জুন মাসের ২০ তারিখৈ ছাত্র ও নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ স্পীকারের নিকট যে স্মারকলিপি প্রদান করেন তাতে পূর্বের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে পুণরায় ভূমি কমিশনের বাতিল দাবী করে এ আইন যেন কোনো প্রকারে সংসদে পাশ না হতে পারে সে ব্যাপারে স্পীকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্র ও নাগরিক পরিষদ ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নিকট একটি আবেদন করে। এই আবেদনে ছাত্র পরিষদ ও নাগরিক পরিষদ রহস্যজনক কারণে আগের অবস্থান থেকে আবার সরে যায় এবং সংস্কারমূলক ১০ দফা দাবী তোলে যা রিপোর্টে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে। এসব দাবী ভূমি কমিশনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সহায়ক। কাজেই পার্বত্য নিউজে প্রকাশিত রিপোর্টটি সম্পূর্ণ সত্য, বস্তুনিষ্ঠ ও তথ্যনির্ভর। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য প্রমাণ পার্বত্য নিউজের কাছে রয়েছে।

৫. প্রতিবাদে বলা হয়েছে, রিপোর্টটি সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়ার বরাত দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রিপোর্টটি সম্পূর্ণ রূপে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ কর্তৃক ভূমি মন্তণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির নিকট আবেদন ১৮ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত আবেদন ও ১৯ সেপ্টেম্বর একই সংগঠনের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির উপর ভিত্তি করে লেখা এবং তাদের দাবী ও বক্তব্য বেশিরভাগই প্রকাশিত হয়েছে। সন্দেহ হলে তারা পুনরায় নিজেদের পাঠানো এ দুটি ডকুমেন্ট পুণরায় পরিক্ষা করে দেখতে পারেন। নাগরিক ও ছাত্র পরিষদের এহেন অবস্থানের আইনগত ও অবস্থানগত বিষয়ে অভিজ্ঞ দু’জনের প্রতিক্রিয়া নেয়া হয়। তাদের একজন হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুইয়া ও অন্যজন এডভোকেট তাজুল ইসলাম। তারাও এ বিষেয়ে পার্বত্য নিউজের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেছেন।

৬. পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ নেতাদের অনুরোধ করা হচ্ছে তারা বরং তাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে এ প্রশ্ন করতে পারেন কোন রহস্যময় বিশেষ কারণে ও স্বার্থে তাদের অভিভাবকেরা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছেন। এবং বাঙালীর অস্তিত্ব বিরোধী ভূমি কমিশনের বাতিল দাবী থেকে সরে এসে সংস্কার দাবী তুলছেন।

৭. বাঙালী ছাত্র পরিষদের পাঠানো প্রতিবাদপত্র ও ১৯ সেপ্টেম্বর নাগরিক পরিষদের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যেও ব্যাপাক মতভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদপত্রে বিতর্কিত ভূমি কমিশন আইন পাস হলে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর কথা বলা হলেও নাগরিক পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে “ গত ১৮/০৯/১৩ রোজ বুধবার ভূমি মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতির আহবানে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ নেতাদের লিখিত ও মৌখিক যে  মতামত পেশ করা হয়েছে তা আমলে না নিয়ে যদি একচেটিয়াভাবে  বহুল বিতর্কিত এই ভূমি কমিশন আইন মহান জাতীয় সংসদে পাশ করা হয়, তাহলে নিম্নোক্ত কর্মসূচী পালন করা হবে’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কি সেই মতামত? ১০ দফা দাবীর ২ থেকে ৭ নম্বর দফাগুলো নিম্নরূপ:

২।   ভবিষ্যতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন শর্তগুলো বাদ দিয়ে বিদ্যমান মূল আইনের আলোকে একটি আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। প্রয়োজনে, আইন বিষয়ে দক্ষ বিজ্ঞ দেশী, বিদেশী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভেটিং সম্পন্ন পূর্বক আইনটিকে যুগোপযোগী করা যেতে পারে।

৩।  ধারা ৬(ক)-তে অবৈধ বন্দোবস্ত ও প্রচলিত আইন, রীতি ও প্রথা শব্দগুলি (হিলট্রেক্ট ম্যানুয়েল-১৯০০) বাতিল করতে হবে।

৪।   কোন মহলের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নের কোন শর্ত ভুমি কমিশন কর্তৃক সংযুক্ত করা হয়ে থাকলে তা সংশোধনের সুযোগ রাখতে হবে।

৫।  সকল ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ এবং সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তির সুবিচারের সুযোগ তথা আপিলের সুযোগ রাখতে হবে।

৬।  কমিশনের বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্তে পৌছাতে না পারার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের একক ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতাকে মূল আইন অনুযায়ী বহাল রাখতে হবে।

৭।   সংশোধিত আইনটি সংসদে পাশ করার পূর্বে একটি শক্তিশালী ও বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা সম্পূর্ণরুপে ভেটিং করানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

এখানে যুগোপোযোগী, সংশোধন, আপীল, ভেটিংএর যে দাবী তোলা হয়েছে তা মূলত সংস্কার প্রস্তাব- যা ভূমি কমিশনের স্বীকৃতিদানের শামিল যে কথা পার্বত্য নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্র পরিষদ ও নাগরিক পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে এই মত পার্থক্যের কারণকি? অবস্থান পরিবর্তন নাকি মতদ্বৈততা?

৮. সংগঠন হিসাবে ছাত্র পরিষদ ও নাগরিক পরিষদের অবস্থান ভূমি কমিশন বাতিলের পরিবর্তে সংস্কার সাধন হতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদেরকে পার্বত্য জনগন তথা দেশবাসীর কাছে পরিস্কার করে তা বলতে হবে। পার্বত্য জনগণ যদি তাদের অবস্থানকে গ্রহণযোগ্য ও অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করে তাহলে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু তা না করে এই সংগঠনের সিনিয়র কিছু নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় ও শ্লোগানে বাতিল ও সরকারে সাথে বৈঠকে সংস্কারের দাবী জানিয়ে পার্বত্য জনগনের সাথে যে প্রতারণা ও ধোঁকাবাজির আশ্রয় নিয়েছে তা তুলে ধরায় ছিল পার্বত্য নিউজের আসল উদ্দেশ্য। বাঙালী ছাত্র পরিষদের মাঠ পর্যায়ের অনেক নেতৃবৃন্দ টেলিফোনে পার্বত্য নিউজকে জানিয়েছেন তারাও এ সংগঠনের অভিভাবক কিছু ব্যাক্তির কর্মকাণ্ডে ক্ষুদ্ধ।

৯. উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়ে যাবে। ভূমি কমিশন নামক যে গৃহটি ভেঙে ফেলার বা বাতিল করার দাবী করছে পার্বত্য বাঙালীরা। তাকে দ্রুত ভেঙে ফেলার বা বাতিল করার দাবী না জানিয়ে নাগরিক পরিষদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সেই ঘরের খুঁটি বদলানো, বেড়া পাল্টানো, রং করার যে সংস্কার ও সংশোধনের দাবী করছে তার কারণ কী থাকতে পারে? এটি কি ভূমি কমিশন নামক গৃহটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা নয়? আমাদের বক্তব্য শুধু এ কথাটিই পার্বত্যবাসীর কাছে পরিস্কার করা। পার্বত্য নিউজ কোনোভাবেই বাঙালী ছাত্র পরিষদ বা নাগরিক পরিষদ বিরোধী নয়। বরং পার্বত্য নিউজ সব সময় এ দুই সংগঠনের কর্মকাণ্ডে সংবাদ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করে আসছে এবং ভবিষতেও করবে। এছাড়াও শুরুতে পার্বত্য নিউজের পক্ষ থেকে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক আলকাস আল মামুনকে একাধিকবার টেলিফোনে বসার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, আলোচনায় যেটা সঠিক বলে প্রমাণিত হবে তা দু’পক্ষকে গ্রহণ করতে হবে, যাদের ভূল হবে সেটা সংশোধন করতে হবে। কিন্তু অপরপক্ষ থেকে আমরা কোনো সাড়া পাইনি।

১০. পার্বত্য নিউজ পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ ও শান্তিপ্রিয় জনগনের মুখপাত্র, বাংলাদেশরে সার্বভৌমত্ব, পার্বত্য চট্টগ্রামের অখণ্ডতা, শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ক্ষেত্রে আপোষহীন। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশী, বিদেশী , ধর্মীয় যেকোনো ধরণের চক্রান্তে বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল, আছে ও থাকবে।              

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

2 Replies to “বাঙালী ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ ও পার্বত্য নিউজের বক্তব্য”

  1. পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এর জন্ম সম্ভবত ৯১ সালে । আর ভুইফোড় নাগরিক পরিষদের জন্ম বছর দুয়েক। তারা কিভাবে ছাত্র পরিষদের অভিভাবক হয়। বাপ কখনো ছেলের জন্মের পর জন্মায়? কিন্তু কিছু বাঙালী-ব্যবসায়ী এটা করেছে। এদের একজন তাইনঙের আলকাস মিয়া। বাপের দেয়া নাম পরিবর্তন করে বানিয়েছে আলকাস আল মামুন। হালে আবার আলহাজ লাগিয়েছে এই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। এদের বাঙালী আন্দোলন হলো- কেউ একজন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আন্দোলন করতে বললো, ২০ হাজার টাকা খরচ করে আন্দোলন করলো আর ৩০ হাজার টাকা পকেটে পুরলো। এরা বাঙালীজীবী। বাঙালী ছাত্র পরিষদ সব জানে কিন্তু কিছু করতে পারেনা জামায়তের কারণে। কারণ তাদের সর্বোচ্চ মুরব্বী হলো জামায়াত। বাঙালী মেয়রগুলো, সাধারণ চাকুরীজিবি পর্যন্ত এদরে টাকা দেয়। কিন্তু এই টাকার কিছুই পায়না ছাত্র পরিষদ। সিনিয়র ব্যবসায়ীরা হজম করে ফেলে। উল্টো তাদের রাহা খরচ পর্যন্ত ছাত্র পরিষদের নেতাদের থেকে দিতে হয়। এই বাঙালীজীবীদের হাত থেকে ছাত্র পরিষদকে মুক্ত করতে হবে। ছাত্র পরিসদের নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি মুরব্বী বলে কোনো ভণ্ড নেতাদের ঠাই না দিয়ে ত্যাগী ও পড়াশোনা জানা নেতাদের সামনে নিয়ে আসুন।
    সামান্য একটা প্রতিবাদের জবাব দিতে গিয়ে পার্বত্য নিউজ যে বিশাল প্রবন্ধ লিকেছে তাতে আমি কুব হতাশ হয়েছি। এটা তদের ভীরুতা, কাপুরুষতা ও আপোষকামিতা। ছি পার্বত্য নিউজ। আপনাদের কাছ থেকে আরো বলিষ্ঠতা আশা করি।

  2. উপরের বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে বলছি মি. আলকাছ মিয়ার পারিবারিক অনেক ইতিহাস আছে। তা নাইবা বললাম। শুধু বলবো আলকাছ মিয়া বাঙ্গালী বানিজ্যে নেমেছে। জাতিকে একজন চাঁদাবাজের হাত থেকে বাচানোর সময়েএসছে। তাকে বয়কট করুন। জামায়াতিদের না বলুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন