বান্দবানের পর্যটন স্পট প্রান্তিক লেক-ভাগ্যকুল সড়কের বেহাল দশা

Bandarban pic-20.9.2013-

জমির উদ্দিন:

বান্দরবানের সদর উপজেলার হলুদিয়া-প্রান্তিকলেক-ভাগ্যকুল সড়কের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ী ঢলে সড়কের ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। পুরো সড়ক জুড়ে ইট উঠে দিয়ে ছোট বড় বহু গর্তের সৃষ্টি এবং বাস্তার পাশে নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়কটি কোন উন্নয়ন সংস্থার তত্বাবধানে রয়েছে তা জানাতে পারেনি জেলার উন্নয়ন সংস্থাগুলো।
২০০৩ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্দ্যেগে সুয়ালকের হলুদিয়ার থেকে ভাগ্যকুল পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার ইট বিছানো রাস্তা তৈয়ার করা হয়। দীর্ঘ দশ বছর সড়কটির কোন সংস্কার বা রক্ষানাবেক্ষন না থাকায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, সুয়ালক ইউনিয়নের এই সড়ক দিয়ে পাহাড়ী-বাঙালী ৭টি গ্রামের প্রায় ৭হাজার লোকের বসবাস। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার লোক যাতায়ত রয়েছে। এছাড়া এই সড়ক দিয়ে  পর্যটন স্পট প্রান্তিক লেক সংযোগ সড়কে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে সেনা বাহিনীর ফায়ারের স্পট।
সরজমিনে দেখা যায়, সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী, ডাইক্কার খোলা, বাবুর্চি পাড়া, মুরং পাড়া, গয়ালমারা, রানিক্ষন ও পুন:বাসন পাড়া রয়েছে।  সড়কটি যানচলাচরের অযোগ্য হয়ে পড়াই ৭টি পাড়াবাসীকে মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে চলাচল করতে হয়। এছাড়া বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে নয়নাভিরাম পর্যটন স্পট প্রান্তিক লেক রয়েছে। ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের পোহাতে হয় দুর্ভোগে। শুধু মাত্র সড়কটি বেহাল দশার কারনে পর্যটক বিমূখ হয়ে পড়ছে প্রান্তিক লেক।

সুয়ালক ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম মৃধা জানান, দীর্ঘ দশ বছর সড়কটি মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে বর্ষা কালে নিরাপত্তা দেওয়াল ভেঙ্গে গিয়েছে। এছাড়া সড়গটির ইট উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি মেরামতের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে জানান তিনি।  
কদুখোলার এলাকাবাসী আব্দুল মান্নন জানান, হলুদিয়া-প্রান্তিকলেক-ভাগ্যকুল সড়কটি যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় পদুয়ার মিঠাদীঘীর বাজার থেকে সদায় করতে হয়। এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে খাল পার হয়ে মিঠাদীঘী এলাকায় নিয়ে যেতে হয়। সব চেয়ে বেশী বিপাকে পরতে হয় মহিলা কোন অসুস্থ রোগীকে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন