ব্যাংকে কেএনএফের লুটপাটে আতঙ্ক

বান্দরবানের তিন উপজেলায় সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ

fec-image

নতুন গজিয়ে উঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ব্যাংক হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলারসহ তিনটির ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কৃষি ও সোনালী ব্যাংক। সেই সাথে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর ১৫ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী এবং ভল্টে থাকা নগদ টাকা জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঈদের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে রুমা সোনালী ব্যাংক এবং গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, উপজেলার সব ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে গত দুদিনে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনাটি পর আতঙ্কে রয়েছে সকল ব্যাংক। এ ঘটনায় সদর উপজেলা বাদ দিয়ে জেলার ছয়টি উপজেলার সব ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে এসে লেনদেন করতে পারবে। এছাড়া লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এদিকে ঘটনাটি পরই রুমা ও থানচি উপজেলায় প্রশাসনিক ও পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শন করছেন। পরিদর্শন শেষে সকল ব্যাংকের নিরাপত্তা জোরদার বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অন্যদিকে ঘটনার তিন দিন পরও খোঁজ মেলেনি রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের। তাকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল। এ ছাড়া রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ টহল দিচ্ছে।

বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনটি উপজেলায় আগের মত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তবে বন্ধ থাকা ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন।

তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে রুমা সোনালী ব্যাংক এবং গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার সব ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলার ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকনে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বান্দরবান, ব্যাংক
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন