বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরণের অভিযোগ

fec-image

বান্দরবানে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে জেলার রুমার কেউক্রাডং থেকে ফেরার পথে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে বগালেক সড়কে হারমন পাড়া এলাকায় রুংতং ঝিড়ি নামক স্থান থেকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা।

অপহৃত উহ্লামং মারমা (৫০) পাইন্দু ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চান্দাপাড়া বাসিন্দা। তিনি ১ নং পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা উপজেলার চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা জানিয়েছেন, কেউক্রাডং থেকে ফেরার পথে রুংতং ঝিড়ি নামক স্থান থেকে পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে অপহরণ করেছে কেএনএফের সদস্যরা।

উহ্লাচিং মারমা জানান, বেসরকারি সংস্থা লীন প্রকল্পের কাজে সকালে কেউক্রাডং গিয়েছিল তিনি। কাজ শেষ করে ফেরার পথে তাদের গাড়ি থামিয়ে কেএনএফ সদস্যরা চেয়ারম্যান উহ্লামংকে ডেকে নিয়ে গেছে। কী কারণে অপহরণ করেছে সে ব্যাপারে জাননি না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বেসরকারি সংস্থা লীন প্রজেক্টের কাজে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও লীন প্রকল্পের কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজন দুটি গাড়ি করে কেউক্রাডং উদ্দেশ্য গিয়েছিলেন। কাজ শেষ করে ফেরার পথে বগালেক এলাকায় রুংতং ঝিড়ি স্থানে পৌঁছালে তাদের গাড়িকে আটকায় কেএনএফের সদস্যরা। পরে চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে ডেকে নিয়ে যায়। চাঁদা দাবির জন্য অপহরণ করেছে বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

পলিপ্রাংশা ইউপি সদস্য অংসা প্রু মারমা বলেন, আমি আর চেয়ারম্যান এক গাড়িতে ছিলাম। কাজ শেষ করে গাড়ি করে রুমা দিকে আসছিলাম। বগালেক এলাকায় কেএনএফের সদস্যরা চেয়ারম্যানকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। চেয়াম্যানকে রেখে সাথে থাকা অন্যান্যদেরকে ছেড়ে দেয়।

ইউপি চেয়ারম্যান স্ত্রী ঙাং এন ময় বম বলেন, গাড়ি থেকে নামিয়ে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে কথা বলছিল। কথা শেষে আমার স্বামীকে রেখে দিয়ে সবাইকে গাড়িতে উঠতে বলে।

তিনি বলেন, টাকা দিলে আমার স্বামীকে ছেড়ে দিবে বলেছে কেএনএফের সদস্যরা।

রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শাহজাহান জানান, অপহরণ বিষয়টি ব্যাপারে শুনেছি। পরে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: অপহরণ, কেএনএফ, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন