অপহরণের ১২ দিনেও উদ্ধার হয়নি

ব্যবসায়ী রাসেলের মুক্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

fec-image

খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম রাসেল ১২ দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে শহরের পানখাইয়া পাড়া থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাপলা চত্বরে এসে সমাবেশ করে।

পরে মুক্তমঞ্চে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ৯ নভেম্বর জেলার দীঘিনালার নয় মাইল এলাকায় সেগুন বাগান দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন ব্যবসায়ী। অপহরণের ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও অপহৃত শফিকুল ইসলাম রাসেলকে উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। এরমধ্যেই শফিকুলের মোবাইল থেকে ফোন করে প্রায় দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে নিলেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বুধবারের মধ্যে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা না হলে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল মজিদ, সম্পাদক মাসুম রানা আসাদ উল্লাহ ও অপহৃত রাসেলের পিতা বাচ্চু মিয়া।

হরতাল প্রত্যাহার
তরুণ কাঠ ব্যবসায়ী মো. শফিকুল ইসলাম রাসেলকে অপহরণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি শহরে মঙ্গলবার আহুত সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাসেল মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল আলম।

রফিকুল আলম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের সাথে বৈঠকের পর আমাদের আশ্বস্ত করা হয় রাসেলকে খুব শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে। তাই সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে সহসাই অপহৃত রাসেলকে উদ্ধার করতে না পারলে এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, হরতাল প্রত্যাহার করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। রাসেলকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি আমরা। আশাকরি স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সফল হবো।

এর আগে সোমবার সকালে রাসেল মুক্তি পরিষদ এর আহ্বায়ক সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে হরতালের ঘোষণা দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন