শিলখালী গণডাকাতি মামলার প্রধান আসামী ৪ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
পেকুয়ার শিললখালী জারুলবুনিয়া ষ্টেশনের ১৬ দোকানে গণডাকাতি ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামী ডাকাত নুরুজ্জমানকে ৪ দিনের রিমান্ডে এনেছে থানা পুলিশ। গত ৫মে গভীর রাতে ৩০/৩৫ জনের স্বশস্ত্র ডাকাতদল হানা দিয়ে পাহাড়ি জনপদের অতিগুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র জারুলবুনিয়া ষ্টেশনের ১৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গণডাকাতি করে।

৬ মে স্থানীয় ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ সওদাগর বাদী হয়ে বারবাকিয়ার ভারুয়াখালীর কুখ্যাত ডাকাত নুরুজ্জমানের নাম উল্লেখ করে ২৫ জন অজ্ঞাত দেখিয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং ৭। ২ জুন ভোর ৫ টার দিকে মামলার প্রধান ও একমাত্র এজাহারে উল্লেখিত আসামী ভারুয়াখালীর রাজা মিয়ার পুত্র চিহ্নিত ডাকাত নুরুজ্জামানকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও (ওসি তদন্ত) এম.এ.হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে স্থানীয় আমিনের বসতঘর থেকে আটক করে। ৩ জুন চকরিয়া জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপস্থিত করে ৫দিনে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৪জুন দুপুর ২টার দিকে ডাকাত নুরুজ্জামানকে পেকুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।

এদিকে ডাকাত নুরুজ্জামানকে রিমান্ডে আনার খবর ডাকাত কবলিত এলাকায চাউর হলে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ডাকাত নুরুজ্জামানকে সঠিক ভাবে জিঞ্জাসাবাদ করলে অবশ্যই অন্যান্য ডাকাতদের অবস্থান ও তাদের ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হবে এবং তাদের কাছ থেকে লুুটে নেয়া মালামাল ও টাকার সন্ধান পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, বিভিন্ন মহাজন ও সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে তারা ব্যবসা বাণিজ্য করতো ডাকাতদের অতর্কিত হানায় স্বর্বস্ব হারিয়ে বর্তমানে তারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেনা এমনকি নিয়মিত ডাকাতদের প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে ব্যবসায়ী ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি বর্গদের হুমকি দেয়ার কারণে আবার বিনিয়োগ করে ব্যবসা করতে তারা সাহস পাচ্ছেনা।

ডাকাতদের প্রকাশ্য ঘুরাফেরা ও ডাকাতদের বাচাতে প্রভাবশালীদের মরিয়া হয়ে অপতৎপরতায় পূণ:ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবণ যাপন করছে। মামলার বাদী নুর মোহাম্মদ সওদাগর অভিযোগ করে বলেন, ডাকাত ও তাদের গড়ফাদাররা মামলা তুলে নিতে ও মামলা নিয়ে দৌড়া দৌড়ি না করতে তাকে অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে ইতিমধ্যে তাকে কয়েকদফা হামলাও করেছে। ডাকাতদের অব্যাহত হুমকিতে তিনি এলাকা ছাড়া হয়ে আত্মগোপনের চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

শীঘ্রই অপরাপর ডাকাতদের গ্রেফতার না করলে ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রদক্ষেপ না নিলে আবারো বড়ধরণের ডাকাতির ঘটনার শিকার হতে হবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন