ছাত্রলীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব ও কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল হত্যা এবং নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্ত্বর বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামনে গিয়ে মিলিত হয়।
পরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক বাবুসহ সংগঠনের অন্যন্যা নেতাকর্মীরা ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যখন বাংলাদেশে রাজনীতিতে এক ধরনের শান্তি বিরাজ করছে, তখন একাত্তরের প্রেতাত্মারা ছাত্রলীগের কর্মীদের হত্যা করছে। একাত্তরের কুচক্রী মহল দিনে দুপুরে চায়ের দোকানে ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সেখানে আরও তিনজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তারা আরও বলেন, ছাত্রলীগ বসে থাকবে না। দুর্বার আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্লাহ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা হাবিব, রনি, মনু, রায়হান ও রাকিব। এসময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে রাকিব ও রায়হান গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্যরা।
এই ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে রাকিবের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে খুলনার কয়রায় ছাত্রলীগের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাদিউজ্জামানের উপর হামলা করা হয়। এতে হাদীউজ্জামান রাসেলসহ ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াছিন আরাফাত, রাজু, আব্দুল্লাহ, আবুল হাসান ও সেলিম আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত রাসেলকে খুলনা মেডিকোল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পথে সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।