থানচি বাসীর চাহিদা পূরণ ও উন্নয়নে অভাবনীয় পরিবর্তন
থানচি প্রতিনিধি:
বান্দরবানে থানচিতে সরকারের সাফল্য সাথে উন্নয়নে জনমানুষের জীবন যাত্রারমান অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ঘটেছে। ১/১১এর পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ বীর বাহাদুর (উশৈসিং) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন ৫ম বারের মত নৌকায় ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করা হলে থানচি থেকে প্রথম উন্নয়ন শুরু করব।
প্রত্যন্ত অঞ্চলকে আধুনিক ধারায় উন্নয়নের জোওয়ারে পরিবর্তণ ঘটানো প্রতিশ্রুতি দেন। থানচির সর্বস্তরে জনগণ ৫ম বারের মত নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বীর বহাদুর(উশৈসিং)কে জয়যুক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পান তিনি। বিগত সাড়ে আট বছরে সফলতার সাথে যোগাযোগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সেবা সহ ব্যাপক উন্নয়ন করতে স্বক্ষম ও সাফল্য হয়েছে। গৌরবময় সাথে সাংগু নদীর উপর সেতু নির্মাণে স্বক্ষম হয়েছে। সাধারণ লোকজনের জীবনযাত্রায় নতুন এক গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে আর দেশ-বিদেশ পর্যটকরাও দেখার সুযোগ মিলছে আকর্ষণীয় বিশাল রহস্যময় অপূর্ব প্রকৃতি পরিবেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী কর্তৃক সাড়ে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালে ১৭ নভেম্বর শঙ্খ নদীর উপর নির্মিত সেতু প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করেন। পর্যাক্রমে পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড অর্থায়নে থানচি রেমাক্রী তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও ইউনিয়ন পরিষদে রেস্ট হাউজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি টাকা, থানচি উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করণ, এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, থানচি ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ের আলিকদম সড়ক নির্মাণ, ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের রেমাক্রী ইউনিয়নের একটি হাই স্কুল ভবন নির্মাণ ও স্থাপন, বলিপাড়া ইউনিয়নে জুনিয়র স্কুলকে হাইস্কুল উন্নিতকরণ, ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ের আইল মারা পাড়া বৌদ্ধ মন্দিরে অনাথ শিশুদের বাসস্থান নির্মাণ, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ছোট ছোট ব্রীজ কালভার্ট, ২ কোটি টাকা ব্যয়ের থানচি বলিপাড়া রাস্তা নির্মাণ, ১ কোটি টাকা ব্যয়ের থানচি রুমা বগালেক সংযোগ সড়ক নির্মাণ, রবি ও টেলিটক নেটওয়ার্ক স্থাপন, কোমল মতি শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ছাত্রাবাস নির্মাণসহ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেন ।
তাছাড়া ২০১৪ সালে নির্বাচনের পরবর্তীতে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহনের পর ১২ কোটি টাকা ব্যয়ের বিদ্যুতায়ন করে থানচিকে আলোকিত করেছে, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ের ফাইয়ার সার্ভিস ভবন নির্মাণ, শিক্ষা ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভের কলেজ স্থাপন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাস ভবন নির্মাণ, পরিত্যক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের ভবন পূনঃ নির্মাণ, সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে একটি পূর্নাঙ্গন রেস্ট হাউজ নির্মাণ, থানচি হতে ছাংদাক পাড়া রাস্তা নির্মাণ, সেগুম ঝিড়িতে সেতু নির্মাণ, বলিপাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাশৈচিং হেডম্যান এর ঝিড়িতে মৎস্য চাষের জন্য পুকুর খনন, শাহজাহান পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক ও বড় মদক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করণসহ অসংখ্য কাজ করেছেন।
অপর দিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে ২০১০ সালে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল (এডিপি) আওতায় স্থানীয় এমপি প্রতিনিধি ও সিংগাফা মৌজা হেডম্যান এর তত্ত্বাবধানের ৩৬১নং থাইক্ষ্যং মৌজায় হত দরিদ্র ২০ পরিবারকে ১ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রতিজনের ৫ একর জমিতে ফলদ ও রাবার বাগান প্রকল্প বাস্তবায়ন, একইভাবে ১ কোটি টাকা ব্যয়ের ৩৬৯নং সিংগাফা মৌজায় ২০ হতদরিদ্র ২০ পরিবারের মাঝে বিনা মূল্যে ৫ একর জমিতে ফলদ ও রাবার বাগান প্রকল্প বাস্তবায়নে মাধ্যমে হত দরিদ্র ৪০ পরিবার ফলদ রাবার বাগানের উৎপাদিত রাবার বাজার জাত করনের মাধ্যমে বর্তমানে স্বাবলম্বি পর্যায়ের চলে আসছে। ৮ লক্ষ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ের ডিম পাহাড়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে।
থানচি হেডম্যান পাড়া নিবাসীগণ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ৩য় বর্ষে শিক্ষার্থী হ্লামংউ মারমা, আহ্সান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষে শিক্ষার্থী উওয়াংশৈ মারমা এর মতামত জানতে চাইলে জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি জনমানুষের অন্তরে প্রবেশের মাধ্যমে না চেয়ে থানচিবাসীদের চাহিদা পূরণ করে দিতে সক্ষম হয়েছে, যা মানুষের নিত্যদিনে প্রয়োজন ছিল। বীর বাহাদুরের দীর্ঘায়ু ও শান্তির কামনা করেন তারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী অংসিং মারমা, জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী উসাইনশৈ মারমা মতামতে জানান, তিনি (বীর বাহাদুর) সততার ন্যায় নিতিকে আমরা সেলুট জানাই, তিনি প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে রক্ষা ও পালন করেছেন। থানচি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও সাবেক সভাপতি অংশৈথুই মারমা বলেন, তিনি দক্ষতার সাথে বান্দরবানে সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ তহবিল করেছেন, তিনি সাংবাদিক বান্ধব থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রেসক্লাব ভবন নির্মাণে অবশ্যই হাতে নিবেন তিনি।
এই প্রতিবেদক এর নিকট মতামত ব্যক্ত করেন রেমাক্রী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মালিরাং ত্রিপুরা বলেন, স্বাধীনতা ৪৬ বছরে তা দেখা যায়নি তা দেখছি খুবই প্রশংসা যুগিয়েছেন তিনি। আমাদের চাহিদা আর নেই তবে উপজেলা সদর থেকে বড় মধক পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হলে আমাদের সর্বশেষ চাহিদা হয়ে থাকবে। তিন্দু
ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শিগরাং ত্রিপুরা জানান, ২০টি ইউএনডিপি পরিচালিত কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালকে জাতীয় করণ করা হয়েছে যা আমরা আশা করেনি তা প্রতিফলন হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আমাদের ইউনিয়ন থেকে সর্বচ্চো ভোট দিয়ে জয় নিশ্চিৎ করবো।
থানচি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাংসার ম্রো বলেন, তুলনামূলকভাবে যথেষ্ঠ উন্নয়ন করেছেন বীর বহাদুর(উশৈসিং) এমপি অসাধ্যকে সাধ্য করেছে। থানচিবাসী আবার নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় অব্যাহত রাখা এবং আমাদের সেবা করার আবশ্যক সুযোগ দিব ।