রাঙামাটির সিলেটি পাড়ার ত্রাস দুদু মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

fec-image

রাঙামাটি শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা দুদু মিয়ার এবং তার পরিবার কর্তৃক হয়রানি এবং এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে রাঙামাটির স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীরা বলেন, কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত খান নুরুল ইসলামের মদদেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে দুদু মিয়া ও তার ছেলেরা’। এজন্য এ পুলিশের এই কর্মকর্তার অপসারণ চেয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আসা মোঃ ফুলন মিয়া (২৫) বলেন, এক নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে বিবস্ত্র করে গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়ো লাগিয়েও দুদু মিয়া ও তার ছেলেদের শাস্তি না হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মোঃ আব্দুল করিম (৫০) ও সুচিং চাকমা (৪৫) বলেন, দুদু মিয়া আর তার ছেলেরা তুচ্ছ ঘটনায় জনৈক আলই মিয়াকে মেরে রক্তাক্ত করেন। এতে তার হাত ভেঙ্গে যায়। মাথায় ৯টি সেলাই দিতে হয়েছে। আবার উল্টো মামলা করে গণহারে আসামি করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল মিস্ত্রি (৬৩) ও রইছ উদ্দিন (৬৫) বলেন, জুলুম নির্যাতন করে উল্টো আদালতে ৩/৪টি মামলা দিয়ে এলাকাবাসীকে হয়রানি করছে দুদু মিয়া। এ সব মামলার তদন্ত ভার নিয়ে ওসি তদন্ত খান নুরুল ইসলাম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সন্ত্রাসি কর্মকান্ডে দুদু মিয়াকে মদদ দিচ্ছেন। তাই ওসি তদন্তকে অপসারণ করা না হলে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড থামবে না বলে তারা অভিযোগ করেন।

অবশ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি তদন্ত খান নুরুল ইসলাম।  মুঠোফোনে যোগাযো করা হলে তিনি বলেন, ‘জমিজমার বিরোধ নিয়ে দুদু মিয়া আদালতে ৩/৪টি মামলা করেছেন। মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। তদন্ত কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করতেই এই সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়েছে’।

তবে থানাকে না জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কোতয়ালী থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন, ওসি তদন্ত অন্যায় করলে থানাকে জানাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহিদুল ইসলাম (২৬)। এ সময় নিজের ওপর ঘটে যাওয়া মরিচের গুড়ো দিয়ে নির্যাতনের বর্ণনা দেন গৃহবধু শাহিনুর বেগম (৩০)। দুদু মিয়া ও তার ছেলেদের বিচার চান তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে দুদু মিয়ার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলাম রুবেল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে প্রতিবেশিদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে আছে বলে স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে এক নারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে বিবস্ত্র করে গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়ো লাগিয়ে ‘ত্রাস’ হিসেবে আলোচনায় আসেন রাঙামাটির তবলছড়ির সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা দুদু মিয়া।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ সম্মেলন, হয়রানি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন