উপজাতিগৃহে অগ্নিসংযোগকারীদের বিচারসহ ঘটনার বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত চাই- অধিকার আন্দোলন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

“রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর, কুতুকছড়ি, আর-এমকে সড়কসহ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এসব স্থানে জলপাই রংএর সেনাবাহিনীর পোশাক পরে উপজাতি সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী করে গহীন অরণ্যে গা’ঢাকা দিলেও প্রশাসন তাদের দমন করতে পারছে না। ঐসব সন্ত্রাসীরাই চাঁদা না পেয়ে বিগত কয়েক বছর যাবৎ স্থানীয় বাঙালিদের লাখ লাখ টাকার আনারস বাগান, সেগুনের চারা, আম কাঠালের চারা, চায়ের বাগান ইত্যাদি রাতের আধারে ক্যামিকেল ঢেলে অথবা রামদা দিয়ে কুচিকুচি করে কেটে ফেলে। অথচ, ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালিদের রোষের অনলে পুড়ে বলির পাঠা হচ্ছে নিরীহ উপজাতীয়রা। তাদের দোকানপাট ও বসত বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে সন্ত্রাসের মুল হোতা জে,এস,এস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনার মুল উৎপাটন হবে না বলে পার্বত্যবাসীদের অনুমান।”

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন গত ১৫ ডিসেম্বর সোমবার রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে ১৪ মাইল এলাকায় সংগঠিত দুঃখজনক ঘটনার ফলোআপ হিসেবে উপরোক্ত বিবৃতি দিয়েছে। ঢাকায় প্রদত্ত উক্ত বিবৃতিতে পাহাড়ের বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠন সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির ও কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল, হাজী মোঃ ইউনুস কমিশনার মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী ও এম. আনোয়ারউল্লাহ উক্ত ঘটনার বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নানিয়ারচরে আনারস বাগান ধ্বংস করাতে বহু বাঙালি কৃষকই সর্বসান্ত হয়ে পথে বসেছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কাছে সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আটকের দাবীতে ইতিপূর্বে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও কোন কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া হয় নাই। ভূক্তভোগী বাঙালিদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়াতেই নানিয়ারচরে দুঃখজনক ঘটনার অবতারণা হয়েছে। এজন্য, মামলা-হামলা গ্রেপ্তার করে বাঙালিদেরকে নির্যাতন চালানো হলে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অধিকতর উৎসাহি হবে এবং দোষীরা পার পেয়ে যাবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন নেতৃবৃন্দ নানিয়ার চরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালি ও উপজাতিদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং উভয় সম্প্রদায়কে সমান নজরে দেখে পুনর্বাসনের জোর দাবী জানান। একই বিবৃতিতে কুতুকছড়ি, আর,এম,কে সড়ক এবং নানিয়ারচরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে পুলিশ, বিজিবি ও নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প তৈরী করে দিবারাত্র টহল ব্যবস্থা চালু করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়েছে।

রাঙামাটি ঘটনার জন্য পার্বত্য গণপরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন চৌধুরী আলমগীরসহ অন্যান্য বাঙালি সংগঠনগুলোও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের হাতে যে সকল বে-আইনী অস্ত্র-শস্ত্র গোলাবারুদ রয়েছে, তা উদ্ধার করে পার্বত্যবাসী জনগণের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন