ঐতিহাসিক ৭ মার্চের মর্যাদাকে কলঙ্কিত করতেই ইউপিডিএফ তাণ্ডব চালিয়েছে: বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ,

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরুপ্তপূর্ণ দলিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতির দিনে  নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা ওসিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের উপর ইউপিডিএফ অতর্কিত  হামলা ও নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পার্বত্য অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক মো. মাঈন উদ্দীন ও সদস্য সচিব এস এম মাসুম রানা যৌথ বিবৃতিতে বলেন,  ঐতিহাসিক  ৭  মার্চ এমন একটি দিন যে দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং আজকের দিনটিকে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি দেওয়ায় পুরো দেশ যখন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে ব্যস্ত তখনই  খাগড়াছড়িতে এ দিবসটিকে ভণ্ডুল করার পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি সদরের স্বনির্ভর এলাকায় উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ ইউপিডিএফ স্বাধীন জুম্মল্যান্ড করার দাবিতে কথিত সমাবেশ ডাকে। এবং ৭ মার্চের র‌্যালিতে সাধারণ মানুষকে যেতে বাধা প্রদান করে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিষেধ করলে ইউপিডিএফের সদস্যরা সাধারণ মানুষ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতেই  প্রমাণ হয় এ সকল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলো তাদের কথিত জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠার দাবিতে পাহাড়ে অতীতের ন্যায় ইস্যু সৃষ্টি করে পাহাড়কে অশান্ত করতে চায়। এ হামলা তারই পূর্ব পরিকল্পনার অংশ।

সংগঠনটির নেতৃদ্বয় আরও বলেন, আমরা  পার্বত্য অধিকার ফোরাম, বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য নারী অধিকার ও পার্বত্য যুব অধিকার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় এনে পাহাড়কে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ১৯৯৭ এর আগে ও পরে যে সেকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে সে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়াই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা নির্যাতন এখনো অব্যাহত।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর ধারাবাহিক হামলার এ ঘটনা ও অতীতের ন্যাক্কারজনক ঘটনা গুলোই প্রমাণ করে পাহাড়ে সাধারণ মানুষের উপর কেমন অত্যাচার নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে এ সকল উগ্র সাম্প্রদায়িক উপজাতি সশস্ত্র গোষ্ঠী।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সংগঠনটি বলেন, এখনই এ সকল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আগামীতে পাহাড়ে বড় ধরনের জাতিগত উগ্র সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটাতে পারে। নিয়মিত চিরুণী অভিযান পরিচালনা করে বের করতে হবে পাহাড়ে এদের অবৈধ শক্তির উৎস অবৈধ অস্ত্র ।  অন্যথায় আগামীতে এই সকল উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে প্রতিরোধের জন্য কঠোর কর্মসূচি দিবে পার্বত্য অধিকার ফোরাম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন