কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে জমা

fec-image

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তার প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

প্রতিবেদন দাখিলের পর ডিসিকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির আদেশ দেন আদালত।

বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ।

তিনি বলেন, উচ্ছেদের পর বিস্তারিত প্রতিবেদন লিখে জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের নিকট পাঠানো হয়। যথাসময়ে তিনি আদালতের নিকট প্রতিবেদন জমা দেন। এরই মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা একটা বিষয় নিষ্পত্তি হলো।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দিয়ে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি।

পরে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট ডিসিকে তলব করেন। পাশাপাশি ডিসিসহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

পরে, গত ১৯ অক্টোবর আদালতের নির্দেশ অনুসারে ব্যাখ্যা দিতে হাজির হন ডিসি মো. মামুনুর রশীদ।

এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, ‘আদালতের আদেশ পালন না করলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমরা পত্রিকা-টিভিতে দেখি কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার ভূমিকা শুধু জিরো নয় বরং নেগেটিভ।’

এরপর আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান ডিসি। তখন আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে ডিসিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট।

৩১ অক্টোবরের পর থেকে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পরপরই কক্সবাজারের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন বিচারক।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, সৈকত, স্থাপনা উচ্ছেদ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন