দীঘিনালা পদযাত্রায় ‘হামলার’ প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটির পদযাত্রায় ‘হামলার’ প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধনপূর্বক কার্যকর ভূমি কমিশন গঠন করার দাবীতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখা এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগর শাখা।
সোমবার (১৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুলভ চাকমা ঢেঙা‘র সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা সুপেন চাকমা। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার স্কুল ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার দপ্তর সম্পাদক সুমন মারমা, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে নিশিমং মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগর শাখা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আখিঁ চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে সামরিক কায়দায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার গাড়িবহরে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর পরিকল্পিত হামলা এবং দীঘিনালায় স্থানীয়দের ভূমি রক্ষার শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে সেনা-পুলিশী হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা তাই প্রমাণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যাকে জিইয়ে রেখে, পর্যটন, বিজিবি ক্যাম্প সম্প্রসারণের নামে পাহাড়ীদের ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।’
বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানকল্পে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্থবায়নে দৃশ্যমান উদ্যোগ হিসেবে কার্যকর ভূমি কমিশন গঠনের দাবি জানান। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করে দেওয়া হলে জুম্ম জনগণ সঠিক উপায়ে তার জবাব দিতে প্রস্তুত আছে বলেও বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্থবায়ন না হওয়ার কারণে এ সকল ঘটনা ঘটেই চলেছে। তিনি অতিঃসত্ত্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পার্বত্য চুক্তি বাস্থবায়নের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার দপ্তর সম্পাদক সুমন মারমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে ভূমি সমস্যা অন্যতম। এ সমস্যা যতদিন দূর না হয় ততদিন পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত, সহিংসতা লেগেই থাকবে।’ একত্ববাদী সরকার এই সমস্যাকে জিইয়ে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসনের মাধ্যমে জুম্ম নিধনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি অপরাজেয় বাংলা পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে প্রতিবাদী সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।