বান্দরবানে পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: টানা ভারী বর্ষণে ব্যাপক পাহাড় ধস
বান্দরবানে টানা চার দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে পরির্শন করে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া টানা ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে জেলা সদরের ইসলাম পুর, আর্মি পাড়া, ওয়াদা ব্রিজ, হাফেজ ঘোনা, বনানী স’মিল, উজানী পাড়া, বালাঘাটাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় পানির নীচে তলিয়ে গেছে অর্ধশত বসত ঘর। এসময় পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত লোকজন বি়ভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া বানভাসি মানুষের জন্য নগদ অর্থ, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অব্যহত ভারী বর্ষণে রাতে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিতে জেলা প্রশাসন ও সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানান, ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলা সদরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত ২০ টান খাদ্য শষ্য, নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৯৩টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ৪৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ব্যাপক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে প্রাণহানীসহ ক্ষয় ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।