বান্দরবানে সরকারি জায়গা দখল করে শ্রমিক লীগ নেতার অবৈধ স্থাপনা

fec-image

জেলা শহর বান্দরবানের সওজের জায়গায় একের পর এক দখল করে চলছে অবৈধ ঘর কিংবা দোকানপাট স্থাপনা। কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে আবার কেউ সাংবাদিক দোহায়ের দাপটে। এমন একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে জেলা শহরে। বান্দরবানের সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের জায়গা দখল করে দোকান স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। কোন আইন তোয়াক্কা না করেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে একের পর এক দখল করে গড়ে তুলছেন অবৈধভাবে দোকানপাট। এর আগেও তিনি একই স্থানে দোকানপাট গড়ে তুলেছে ৩টি অবৈধ স্থাপনা। এই ৪টি দোকানই কামাল হোসেন নামে্র একই ব্যক্তি। এতে সড়ক দখল নিয়ে বহুবার সংবাদ প্রকাশের পরও উচ্ছেদ অভিযানে নামছেন না সড়ক বিভাগ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান পৌর এলাকার রুমা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চিম্বুক সড়কের ঘেঁষে সড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলছেন দোকানপাট। সে দোকানের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন একজন শ্রমিক। বর্তমানে সেই দোকানের কাজ শেষ পর্যায়ে। শুধু সেটি নয়, একই সড়কের ধারে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন আরো ৩টি দোকান। সব মিলে এই চারটি দোকান তার নিজের ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে দখল করে তুলেছেন। এরই মধ্যে ওএমএস চাউলের ডিলার, সেলুন ও অপর একটি দোকান চলমান। তবে তার এই দখল নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ যেন অসমাপ্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দখলদার কামাল হোসেন তিনি বর্তমানে ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক । তিনি ক্ষমতার দাপটে একের পর এক সরকারি জায়গা দখল করে সড়ক ঘেঁষে গড়ে তুলেছেন ৪টি দোকান। বর্তমানে তিনি ওএমএস চালের ডিলার হিসেবে ব্যবসা করছেন। ওএমএস ডিলার দোকানটি ৫ বছর আগে সড়ক ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে তোলা। তার দোকান দুই পাশে সেলুন ও ছোট ভাইয়ের জন্য একই স্থানে ৪ বছর আগে দখল করে দোকান গড়ে তুলেছেন । বর্তমানে অপর একটি দোকান কোন কাগজপত্র ছাড়া দখল করে দোকানের কাজ চলমান। সেসব দোকান গড়ে তোলার পর নিজ জায়গার দোকান বলে শুরু করে ভাড়াতে ব্যবসা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের জায়গায় দখল করে একে একে মোট ৪টি দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। কাগজপত্র ছাড়া কিভাবে গড়ে তুললেন সেটি তাদের জানা নেই। এই ৪টি দোকান স্থাপনের পর মালিক হিসেবে পরিচয় দেন কামাল হোসেন নামে ব্যক্তি। তিনি অবৈধভাবে দোকান তোলার পর সেসব দোকান ভাড়া দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।

পাশ্ববর্তী দোকানদার সিকান্দার মুন্সি বলেন, সড়ক ঘেঁষা সরকারি জায়গা দখল করে দোকান স্থাপন করেছে। এর আগে আরো তিনটি দোকান গড়ে তোলা শেষ। এসব জায়গায় তার কোন কাজগজপত্র নেই। ক্ষমতার দাপটে এসব অবৈধ কাজ করা খুবই অন্যায়।

এব্যপারে দখলদার কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোন কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে দোকান তুলেছেন। তাছাড়া তার দোকান স্থাপনের জায়গার কাগজপত্র নেই বলে স্বীকার করেন। কেন নেই প্রশ্ন করলে বিকালে দেখা করব বলে ফোনটি কেটে দেন।

বান্দরবান সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন জানান, সরকারি জায়গা দখল করে ঘর তোলার কোন এখতিয়ার নেই। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বান্দরবান, শ্রমিক লীগ, সরকারি জায়গা দখল
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন