মানিকছড়িতে নিহত স্কুল শিক্ষক চিংসামং চৌধুরী ইউপিডিএফ‘র সমর্থক : প্রদীপন খীসা

0603

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

মানিকছড়িতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত স্কুল শিক্ষক চিংসামং চৌধুরী ইউপিডিএফ‘র সমর্থক দাবী করে বিবৃতি দিয়েছেন ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ‘র খাগড়াছড়ি জেলা সমন্বয়ক প্রদীপন খীসা।

হত্যাকাণ্ডের সাথে ইউপিডিএফ’কে জড়ানো ঘটনার পরপরই মিছিল এবং পরের দিন রোববার আরও সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিতভাবে কতিপয় চক্র ও সরকারি ছাত্র সংগঠনের পরপর মিছিল, উস্কানিমূলক শ্লোগান, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরসহ আক্রমণাত্মক ও মারমূখী কার্যকলাপের পেছনে স্পষ্টতই শাসকগোষ্ঠীর মদদ রয়েছে বলে বিবৃতিতে মন্তব্য করেছেন ইউপিডিএফ‘র এ শীর্ষনেতা।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের ওপর যখন সাম্প্রদায়িক হামলা, ভূমি বে-দখল, নারী নির্যাতনের মত ঘটনা ঘটে তখন প্রতিবাদমূলক মিছিল-মিটিং তো দূরের কথা মূখচেনা এ সমস্ত ব্যক্তিদের প্রতিবাদী তৎপরতা চোখে পড়েনা। মাইসছড়িতে বৌদ্ধ ভিক্ষু নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে এদেরই একটি অংশ কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা মানুষের স্মৃতি থেকে এখনও মুছে যায় নি। চিংসামং চৌধুরী‘র অকাল মৃত্যুতে তারা আবার স্ব-মূর্তিতে আবির্ভূত হতে চাইছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।

বিবৃতিতে মানিকছড়িতে নিহত স্কুল শিক্ষক চিংসামং চৌধুরীকে ইউপিডিএফ‘র সমথর্ক দাবী করে এ ইউপিডিএফ নেতা আরও বলেন, তার মৃত্যু অত্যন্ত দু:খজনক। ঘটনা যে-ই করুক, তা নিন্দনীয়। কিন্তু উক্ত ঘটনাকে পুঁজি করে জল ঘোলা করা, সাম্প্রদায়িক জিগির তোলা এবং বিশেষ করে ইউপিডিএফ’কে দায়ি করে চিহ্নিত কতিপয় চক্রের জঙ্গী কর্মসূচি গ্রহণকে শাসকগোষ্ঠীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না।
ইউপিডিএফ’কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্তে লিপ্ত, আন্ত:সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিও তার একটি প্রধান অংশ। চিংসামং-এর হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সরকার-প্রতিক্রিয়াশীল চক্র নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা ষড়যন্ত্রকারী স্বার্থাণ্বেষীদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হতে এবং শাসকগোষ্ঠীর ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আন্তঃজাতিগত ঐক্য সংহতি বজায় রেখে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার করতে সকলের প্রতি আহবান জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন