লড়াইয়ের করেও বৃষ্টি আইনে হারলো বাংলাদেশ

fec-image

মেহেদী হাসান এবং শরিফুল ইসলামই যা ১১০ রানের পুঁজিকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করলেন। অন্য বোলারদের আর কেউ নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। স্বাগতিকদের হারানোর মতো পুঁজি বলা চলে না। দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইন ডিএল মেথডে ১৭ রানে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা।

এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা হয়েছে। নেপিয়ারে জয় দিয়ে টি-২০ সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে প্রথম টি-২০ জয়। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে বল হাতে বাংলাদেশ ভালো শুরু পেলেও তা বৃষ্টিতে ভেসে যায়। শেষ ম্যাচে হারলেও তাসমান পাড়ে প্রথমবার সিরিজ না হারার কীর্তি গড়েছে টাইগাররা।

প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতেলেও শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে নাজমুল শান্তর দল। প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। আউট হওয়ার ওই ধারা আর থামেনি। ১৯.২ ওভারে ১১০ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। রনি তালুকদারের সঙ্গে তার ২৭ রানের জুটি হয়। ওটাই দলের সবচেয়ে বড় জুটি। ওপেনার রনি ফিরে যান ১০ রান করে। পরে তাওহীদ হৃদয় (১৬) ও আফিফ হোসেন (১৪) সেট হয়ে ফিরলে রান বড় হয়নি সফরকারীদের।

জবাব দিতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৯ রানে হারায় ৫ উইকেট। এক প্রান্তে ওপেনার ফিন অ্যালেন থাকলেও অন্য প্রান্ত দিয়ে ধস নামায় বাংলাদেশ। যার শুরুটা হয় ওপেনার টিম শেইফার্টকে স্টাম্পিং করার মধ্য দিয়ে। শেষ হয় মার্ক চাপম্যানকে রান আউট করে। ওই দু’জনসহ মাঝের ড্যারেল মিশেল ও গ্লেন ফিলিপস স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান করে যোগ করতে পারেন।

তবে ফিন অ্যালেন ৩১ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রান করে ম্যাচটা বেশ এগিয়ে দেন। পরে জেমি নিশাম ২০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৮ রান করেন। অধিনায়ক মিশেল স্যান্টনার ২০ বলে ১৮ রান করেন। তাদের জুটি থেকে ৪৬ রান আসে। ১৪.৪ ওভারে কিউইরা ৫ উইকেটে ৯৫ রান করার পর বৃষ্টি আসে। হাতে থাকা ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে জেতে তারা।

শেষ এই ম্যাচে বল হাতে স্যান্টনার ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া তিন পেসার টিম সাউদি, এডাম মিলনে ও বেন সিয়ার্স দুটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশ দলের হয়ে শেখ মাহেদী ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন