পেকুয়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম, গ্রেফতার ১
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে জাকের হোসেন (৪০) নামের এক ওয়ার্ড আ.লীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের হরিনাপাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার দিনই আহতের স্ত্রী নাহারু বেগম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-০১/২৩। এ মামলায় প্রধান আসামি আবদুল জলিলকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আহত জাকের হোসেন ওরফে মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিনাফাঁড়ি এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও সদর ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি। গ্রেফতার আবদুল জলিল একই এলাকার শকির আলমের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জাকের হোসেন সদর ৪নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ সভাপতি। গত বুধবার রাতে পেকুয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। জয়নালের বাড়ির সামনে পৌঁছলে এসময় হামলাকারীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জাকের হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে।
স্থানীয়রা জানায়, গত মাসখানেক আগে চট্টগ্রামের পটিয়ায় নলকূপ বসার কাজে যায় হরিনাফাঁড়ি এলাকার মনির উদ্দিনসহ ৫ জন। তাঁরা সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা বাজার পাড়া এলাকার টিপু সোলতানের টিউবওয়েল স্থাপন কাজে শ্রমিকের কাজ করতেন। বকেয়া বেতনের টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের সাথে টিপুর বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে টিউবওয়েল স্থাপনের কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে রাখে মনির, ছরফরাজ, পুতু, তারেক, মানিক, মিরাজ। জাকের টিপুর পক্ষ হয়ে মনির গংদের সাথে বিরোধে জড়ান। এর জেরে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
গ্রেফতার আবদুল জলিলের পিতা শকির আলম বলেন, সমাজের সর্দার আমার বাড়িতে টিপুর কিছু যন্ত্রপাতি জিম্মায় রাখে। জাকের হোসেন মাস্তানি করে মালামালগুলো নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে এসে দুজনকে কুপিয়েছে। এসময় মারপিটে জাকেরও আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।