৭৫০ পর্যটক নিয়ে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পৌঁছাল ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’

fec-image

আনুষ্ঠানিকভাবে কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন স্পট সেন্টমার্টিনে এ মৌসুমের পর্যটক যাতায়াত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউ ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে ১২.৪৫ মিনিটের সময় ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ নামে জাহাজটি সেন্টমার্টিন পৌঁছে।

জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়ে পূর্ব প্রস্তুতিমতে কক্সবাজার থেকে প্রথমদিন ৭৫০ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন গেছেন। কেউ কেউ ওখানে রাত্রী যাপনে থেকে যাবেন আর অনেকে ফিরে আসবেন।

সূত্র জানায়, মৌসুম হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু করা যায়নি। এতে চরম অনিশ্চয়তায় পড়ে সেন্টমার্টিনে বিনিয়োগ করা কোটি কোটি টাকা। এদিন পর্যটকরা নিরাপদে টেকনাফ হতে যাতায়াত করতে সক্ষম হলে নাব্যতার অজুহাতে টেকনাফ রুটে আর জাহাজ চলাচলের অনুমতি পায়নি।

জেলা প্রশাসন সূত্র মতে, এ বছর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের অনুমতির জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে আবেদন করেছে পারিজাত, ফারহান, রাজহংস, সুকান্ত বাবু, কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ এন্ড ডাইন নামে ৬টি জাহাজ।

কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের কক্সবাজারস্থ ব্যবস্থাপক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ ৭৫০ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন রওনা দিয়ে ৬ ঘণ্টার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছে। জাহাজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। এদিকে বছরের প্রথম পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিনে গমন করায় খুশি হয়েছেন দ্বীপের মানুষ। হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীসহ যারা পর্যটন সংশ্লিষ্ট আছেন তারা পর্যটকদের স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত রয়েছে। তবে দ্বীপবাসী ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল না করায় চরম হতাশ হয়ে উঠেছে।

সেন্টমার্টিন মারমেইড রিসোর্টের স্বত্তাধিকারী মাহবুবুর রহমান বলেন, দ্বীপের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পর্যটন সেবায় আমরা সবাই প্রস্তুত।

সেন্টমার্টিন হোটেল সি প্রবালের পরিচালক আবদুল মালেক জানান, এ বছর টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল না করলে হোটেল ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কারণ, মৌসুম সামনে রেখে অনেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে হোটেল রেস্তোরাঁ করেছে। সেখানে একটি জাহাজে ৬০০-৭০০ পর্যটক গেলে কিভাবে ব্যবসা করবে।

দ্বীপের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সেন্টমার্টিনের লোকজন অপেক্ষা করে কখন পর্যটন মৌসুম শুরু হবে তখনই হাসি ফুটে মানুষের। কিন্তু এ বছর হতাশ দ্বীপবাসী। তিনি আশানূরূপ জাহাজ চলাচলে অনুমতি প্রদানের সংশ্লিষ্টদের অনুরোধের কথা জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস পরীক্ষামূলক চালু করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটক, সেন্টমার্টিন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন