জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানে আলীকদমে কর্মশালা
আলীকদম (বানদরবান) প্রতিনিধি:
বান্দরবানের আলীকদমে গতকাল শনিবার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা, বান্দরবান জেলা কমিটির উদ্যোগে জনসচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় টাউন হলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান এবং বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শফিকুর রহমান।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আলীকদম জোন কমান্ডার মেহেদী হাসান আল আমিন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা পৌর মেয়র আমির হোসেন ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট ইলিয়াছুর রহমান। কর্মশালায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার, আলীকদম ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, লামার গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার, এতিমখানা পরিচালক মাওলানা শামশুল হুদা সিদ্দিকী, আলীকদম কার্বারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আগস্টিন ত্রিপুরা ও শিক্ষক হাসান মুরাদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শফিকুর রহমান বলেন, আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ ব্যক্তিকে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সারাদেশে কাজ করছে। যেসব বিচারপ্রার্থী মামলায় আইনজীবি নিয়োগ করার মতো আর্থিক সংগতি নেই তাদেরকে এ কমিটি আইনজীবি নিয়োগের সহায়তা দিয়ে থাকে। সুপ্রীম কোর্টে আইনগত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে যার বার্ষিক গড় আয় দেড় লক্ষ টাকা এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার উর্ধ্বে নয় তাকে এ কমিটি আইনী সহায়তা প্রদান করবে। এ আইনটি ২০০০ সাল থেকে প্রবর্তিত থাকলেও জনসচেতনার কারণে আইনের সুফল পাচ্ছেন বান্দরবান জেলার সাধারণ জনগণ।
কর্মশালায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, আলীকদম উপজেলায় আদালাত ভবন থাকা সত্ত্বেও আদালতের কার্যক্রম বন্ধ আছে। ফলে স্থানীয়দের আইনী সহায়তা পেতে জেলা সদরে যেতে হচ্ছে। এতে সাধারণ বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। বক্তারা আইনী সহায়তার জনগণের দোরগোড়াই পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলীকদমে আদালত ভবন চালুর দাবী জানান। জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ কর্মশালায় লামা ও আলীকদম উপজেলার বিভিন্নস্তরের জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারী, শিক্ষক, ইমাম, ভান্তে, খ্রিষ্টান যাজক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত লোকজন এ ধরণের একটি কর্মশালার আয়োজন করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।