পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাতিলের দবিতে বাঙালীদের মানববন্ধন

IMAG0060

স্টাফ রিপোর্টার:

১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর যে পার্বত্য চুক্তি করা হয়েছিল তা ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি ‘কালো চুক্তি’। সেই চুক্তির মাধ্যমে দেশকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য নাগরিক পারিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতারা।

পার্বত্য চুক্তির ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চুক্তি বাতিলের দাবি আদায়ের লক্ষে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত ফরাজী সাকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভুাঁইয়া, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক  সরোয়ার হোসেন, পার্বত্য গণ পারিষদের মহাসচিব মাহমুদুল হাসান নিজামী, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা শেখ আহমেদ রাজু প্রমুখ।

পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি: আলহাজ্ব আলকাছ আল মামুন ভুাঁইয়া বলেন, পার্বত্য কালো চুক্তির মাধ্যমে সেখানে পাহাড়ী সন্ত্রসীদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা দিয়ে সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার বিভিন্ন দ্বায়িত্বে তাদের নিয়োগ দিচ্ছে, আর বাঙালীদের সেখানে দেওয়া হয়েছে ২য় শ্রেণীর মর্যাদা। সেই এলাকা গুলোতে বাঙ্গালীরা এখন নিরাপদ নয়। তাদেরকে নিয়মিত উচ্চহারে চাঁদা দিতে হচ্ছে। পাহাড়ী অঞ্চল থেকে সেনা বাহিনী প্রত্যাহার করে নিলে বাঙালীদের অস্তিত্ব বিলিন করে দিবে পাহাড়ীরা।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকায় যদি অপহরণ, চাঁদাবাজি, খুন, অস্ত্রের ঝণঝণানি বন্ধ করা না হয় তাহলে ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের মত বাঙালীরা আবার অস্ত্র হাতে নিতে বাধ্য হবে। আমারা অস্ত্র হাতে নিতে চাইনা, আমরা অবিলম্বে এই চুক্তি বাতিল করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।

পার্বত্য বাঙ্গালী পারিষদের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, পার্বত্য চুক্তির মাধ্যামে পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব তিমূর বানাতে চায় পাহাড়ীরা। পাহাড়ীদের নেতা সেজে ৩০ হাজার বাঙালীর খুনি সন্তু লারমা একদিকে সরকারের সাথে যোগাযোগ রেখে সরকারি সুবিধা ভোগ করছে, অন্য দিকে গোপনে পার্বত্য অঞ্চলকে ভিন্ন রাষ্ট্র বানানের ষড়যন্ত্র করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন