রুমায় কেএনএফের সক্রিয় দুই সদস্য আটক; দেশীয় বন্দুক উদ্ধার

fec-image

বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর অভিযানে আবারো কেএনএফের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে কেএনএফের আস্তানা থেকে ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০টি রাউন্ড গুলি, কেএনএফ’র পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, ১টি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাসহ উদ্ধার হয়েছে

সোমবার (৮ এপ্রিল) রুমা বেথেল পাড়া থেকে অভিযান চালিয়ে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা জোনের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল কেএম আরাফাত আমিন।

তিনি জানান, রুমায় বেথেল পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০টি রাউন্ড গুলি, কেএনএফ’র পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, ১টি ছুরি, কেএনএফের পোশাক ও বিভিন্ন সরঞ্জাসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে বান্দরবানে থানচিতে দুটি ব্যাংকে ডাকাতি ঘটনায় কুকি-চিন ন্যশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী।। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িসহ মো. কফিল উদ্দিন সাগর নামে চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে রবিবার বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জব্দের কথাও জানান তিনি।

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের পরপরই র‌্যাব জানায়, বান্দরবানে এক বিশেষ অভিযানে কেএনএফের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে আটক করেছে র‌্যাব। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের শ্যারনপাড়ার বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের ভিড় বেড়েছে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় বেথেল পাড়ায়। শান্তি আলোচনার মধ্যেই ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ও পরদিন ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১৭ লাখ টাকা লুট, দুটি লাইট মেশিনগানসহ (এলএমজি) ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা।

পাশাপাশি সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে তারা। পরে ম্যানেজারকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরপর দুই উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

কেএনএফ ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে তৎপরতা শুরু করে। পাহাড়ে তাদের আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর আগেও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কেএনএফ, দেশীয় বন্দুক উদ্ধার, রুমা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন